রক্ত হিম করা গায়ে কাটা দেয়া হরর সিনেমা পর্ব - ১। ভয় কাকে বলে জানতে দেখে ফেলুন - aamirsvlog

 আসসালামুয়ালিকুম বন্ধুরা, 

আজ আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম ১০টি ভৌতিক সিনেমা।  যারা ভৌতিক সিনেমা পছন্দ করেন হয়তো তাদের এইগুলা দেখা হয়ে গেছে।  যে সিনেমা টি দেখার বাকি আছে সেটা দেখতে পারেন।  

চলুন তাহলে শুরু করা যাক 

1. The Shining (1980)

Movie director : Stanley Kubrick

Cast:Jack Nicholson,Shelley Duvall,Scatman Crothers,Danny Lloyd

IMDb rating: 8.4/10

Rotten Tomatoes:85%

গল্পে থাকা প্রধান চরিত্র জ্যাক তার স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে একটি আইসোলেটেড হোটেলে ৫ মাসের জন্য থাকতে যায়! আসলে তারা সেখানে হলিডে যাপন করার জন্য যায় না, জ্যাক সেই হোটেলের কেয়ারটেকার এর চাকরি নেয়! কারণ সেই হোটেল টি শীতকাল সহ পাচঁ মাস বন্ধ থাকে, সেখানকার আবহাওয়ার জন্য। বিশাল বড় হোটেল, খাবারের অভাব নেই রুমের অভাব নেই কিন্তু মানুষ মাত্র তিনজন, পাঁচ মাস তাদের রাজকীয় হালে কাটবে। যাইহোক গল্প এগোতে থাকে আর এদিকে শীতের আগমন হতে থাকে কিন্তু সেই সাথে কিছু প্যারানরমাল ঘটনাও ঘটতে শুরু করে! সিচুয়েশন গভিরভাবে কিছু ভয়ংকর জিনিসের দিকে এগোয়। আর কিছু বললে বোধহয় স্পয়লার হয়ে যাবে, যদিও গল্পটার মূল স্পয়লার তার অফিসিয়াল পোস্টারেই দেওয়া আছে। কিন্তু মুভিটার স্টোরিটেলিং, ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক সুন্দর আর মনোমুগ্ধকর! স্ক্রিন থেকে চোখ সরাতে ইচ্ছা করে না। ক্লাসিক মুভির ধরন সম্পর্কে ধারণা থাকলে এই মুভিটা আপনার জন্য অনেক হরর বলে মনে হবে!

2. The Thing (1982)

পরিচালকঃ জন কারপেন্টার

IMDB Rating: 8.1

রটেন টোম্যাটোঃ টপ ক্রিটিকদের কাছ থেকে ১৭% এবং সকল ক্রিটিকদের কাছ থেকে ৭৯% পজেটিভ 

কাহিনীর শুরুটা বেশ রহস্যময় (অন্তত আমার কাছে লেগেছে)। শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটা কুকুরকে চেস করার দৃশ্য থেকে উত্তেজনার শুরু। তখন থেকেই কু-ডাক ডাকা শুরু করে মন। এরপর প্রতি মুহূর্তেই যেনো নতুন আতঙ্ক! 

মেরু অঞ্চল দেখলেই ভয় ভয় লাগে। দুনিয়ার তাবৎ ব্যাখ্যাতীত কুকামগুলো কেনো যেনো এই অঞ্চলেই ঘটে। মেরু ঝড়, নেটওয়ার্কহীনতা, মূলকেন্দ্র থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, ক্রুদের অস্বাভাবিক আচরণ – সবই এই নির্জন এলাকায় দেখা যায়। এই মুভিও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এই জিনিস দেখতেই আমার ভালো লেগেছে কারণ এটা আজ থেকে ৩১ বছর আগেকার সৃষ্টি। 

স্পেশাল ইফেক্ট অতোটা না বুঝলেও এখানকার কারসাজি দেখে আমি মুগ্ধ! একেবারে জীবন্ত দৃশ্য, একটুও কৃত্রিম নয়। মুভির কাহিনী, শেষে গিয়ে মনে হলো, ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখলাম এটা পরিচালকের Apocalypse Trilogy-র প্রথম পর্ব। 

তবে মুভিটি দর্শক দ্বারা সমাদৃত হলেও সমালোচকদের দ্বারা বেশ কুমালোচিত একটি মুভি। এই মুভি প্রত্যাশানুযায়ী ব্যবসা না করার পেছনে ২ সপ্তাহ আগে স্টিভেন স্পিলবারগের E.T. the Extra-Terrestrial মুক্তি পাওয়াকে দায়ী করা হয়। 

২০১১ সালে একই নাম দিয়ে মুভিটির প্রিকুয়েল নির্মাণ করা হয়েছে।

3. Hereditary (2018)

IMDb: 7.4

Genre: Horror/drama

এই মুভির ending এতটা creepy আর unnerving হবে এইটা কখনোই আশা করি নাই মানে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতেও সমস্যা হচ্ছিল। Hereditary নিঃসন্দেহে সবথেকে সেরা horror মুভিগুলোর একটি। Insidious বা conjuring মুভি সিরিজগুলোর থেকে অনেকটাই আলাদা থিম রয়েছে। Jumpscare বা scary ghost এর উপর focus না করে কাহিনী দিয়েও যে scary মুভি তৈরি করা সম্ভব তা Ari aster খুব সুন্দরভাবেই দেখিয়েছেন।

মুভির starting হালকা স্লো লাগতে পারে but কাহিনীতে একবার ঢুকে গেলে আর লাগবে না। আর শেষের দিকে আপনি একটা হোচট খাবেন এইটা sure‌ এবং রাতে খারাপ স্বপ্নও আসতে পারে যেটা আমার এসেছিল ।

4. The Exorcist (1973)

Diractor : William Friedkin

IMDB : 8/10

PR : 8.5/10

এটিই অস্কার পাওয়া প্রথম হরর মুভি।

বলা হয়ে থাকে এটা নাকি মুভি জগতের সবচাইতে অভিশপ্ত সিনেমা।'উইলিয়াম পিটার ব্লেটি' রচিত একই নামের একটি উপন‍্যাস থেকে নির্মিত। লেখক নিজেই চিত্রনাট্য লিখেছেন ।

কাহিনি সংক্ষেপ......

রৌদ্রতপ্ত এক দুপুর। ইরাকের শহর হাত্রাতে খননকার্যে নিয়োজিত কিছু শ্রমিক ঘাম ঝরাচ্ছে অবিরাম। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানের জন্যই চলছে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ। ক্যাথলিক পাদ্রী ফাদার ল্যাঙ্গাস্টার মেরিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। সুদূর আমেরিকা থেকে উড়ে এসেছেন এই বৃদ্ধ ধর্মযাজক। খননকার্যের হর্তাকর্তা তিনিই, সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ফাদার মেরিন কিন্তু তার অশান্ত মানসিক অবস্থা প্রকাশ করছেন না। কেন যেন এই জায়গাটার অশুভ আবেদন টের পাচ্ছেন তিনি। সকাল থেকে কিছু খারাপ পূর্বাভাস দেখে চোখ-কান খোলা রাখতেই হচ্ছে। বিচলিত যাজকের কাছে আচমকা ছুটে আসে এক শ্রমিক। নতুন কিছু খুঁজে পাওয়া গেছে, এমনটিই জানালো সে। আবিষ্কৃত নিদর্শনের কাছে ফাদার মেরিনকে নিয়ে যাওয়া হলো। হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় ফাদারের, টপ টপ করে ঘাম বেয়ে পড়ে তার কপাল থেকে। এ যে এক প্রাচীন অপদেবতার মূর্তি! মূর্তির সামনে চিন্তামগ্ন ফাদার ভাবেন, “এতদিন ধরে যে অশুভ লক্ষণ টের পাচ্ছিলাম, তার নেপথ্যে কি এই মূর্তি দায়ী?”

সিনেমা শুটিং চলাকালীন মুভির সাথে জড়িত বিভিন্ন কলাকৌশলিদের মৃত্যুতে মুভিটিকে আরও রহস্যময় করে ফেলে।

সিনেমার শুটিংয়ের সময় দুই দুইটি সিনেমা সেট আগুনে পুড়ে যায়।

মুভি রিলিজ হওয়ার আগেই মুভিতে অভিনয় করা দুই অভিনেতার মৃত্যু হয় রহস্য জনক ভাবে।

এই সিনেমায় রোলান্ডোর আত্মার শব্দ যিনি দিয়েছিলেন সেই মহিলার ছেলে তার নিজের স্ত্রী এবং ছোট বাচ্চাকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করে। এই ঘটনার পরেই খুনি স্বামী নিজেও আত্মহত্যা করেন।

এই মুভির শুটিং চলাকালীন সময় নাকি বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রী নানারকম প‍্যারানরমাল বিষয় অনুভব করতেন। ইভেন দর্শকরাও নাকি মুভি দেখা শেষে বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হন। মাথা ঘুরতে থাকে বিভিন্ন আওয়াজ শুনতেন বলে জানা যায়।

কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ এই গল্পের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।

5. Halloween (1978)

Genre:Psychological,Horror,Thriller

IMDb--7.8/10

Rotten Tomatoes:96%

Metacritic:87%

মুভিটা দেখার সময় সবথেকে আশ্চর্য হয়েছি মুভির ক্যামেরা কোয়ালিটি দেখে! মুভিটা ১৯৭৮ সালের,অথচ মনে হচ্ছিলো যেন ২০১৪-১৫ সালের মুভি! 

এই মুভির ফ্লেভার আর আলফ্রেড হিচকোকের Psycho মুভির ফ্লেভার অনেকটা এক রকম...পুরো মুভি জুড়ে টেনশনের মহল বিরাজ করছিলো...দুর্বল হৃদয়ের ব্যক্তিদের প্রচুর ভয় লাগবে বলে মনে করি...কারণ,সারাসময় মাথার মধ্যে একটা জিনিস ই ঘুরছিল আর তা হলো,"বাঁচতে পারবে তো? বাঁঁচতে পারবে তো?"...সত্যিই প্রেজেন্টেশন টা দারুণ ছিল...এইজন্য ডিরেক্টরের প্রশংসা করা উচিত...ছোটবেলায় দেখলে নিশ্চয়ই প্রচুর ভয় পেতাম

আমার কাছে মুভির বেস্ট পার্ট লেগেছে এর Smooth স্ক্রিনপ্লে..নিজস্ব গতিতে মুভিটা এগিয়েছে...মুভি জুড়ে ছিল টানটান উত্তেজনা..যেকোনো মুভি লাভার যেই জিনিসটা চাই থ্রিলার মুভি দেখার সময়,সেইটা ছিল এই মুভিতে...সিনেমাটোগ্রাফিও দারুণ ছিল..আর আগেই বলেছি ক্যামেরা কোয়ালিটি কতটা উন্নত ছিল...কিছু জায়গায় তো শুধু ক্যামেরাওয়ার্ক ই মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল..আর অভিনয়ের কথা বললে সবাই ই দারুণ করেছে..তবে নায়িকা সেরা ছিল

মুভির কাহিনীসংক্ষেপঃ মাইকেল একজন মানসিক রোগী,যে ছোটবেলায় হ্যালোয়েনের দিন নিজের বোনকে হত্যা করেছিল এবং তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়...কিন্তু ১৫ বছর পর সে পালিয়ে নিজের এলাকায় চলে আসে এবং হ্যালোয়েনের দিন অবাধে তরুণ-তরুণীদের হত্যা করতে শুরু করে...তাকে কি আটকানো সম্ভব হবে? জানতে হলে দেখে ফেলেন অত্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর এই থ্রিলার মুভিটি...আমি গ্যারান্টি দিতে পারি এই মুভিটা দেখার সময় জায়গা ছাড়তে পারবেন না আপনারা...I Challenge!

জানেন?

American Film Institute এর মতে এই মুভিটা সর্বকালের সেরা মুভিগুলার একটা এবং সর্বকালের ৬৮তম সেরা থ্রিলার মুভি

সুতরাং যারা দেখেননি দেরী না করে সকলেই মুভিটা দেখে... আশা করি অসাধারণ লাগবে

Don't Miss It!

Tags