1. Lagaan-2001
2001 ‧ Musical/Romance
Director: Ashutosh Gowariker
Starring : Aamir Khan, Gracy Singh, Rachel Shelley, Paul Blackthorne
অস্তিত্ব রক্ষা বা অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের জাগরণের গল্প বলে লগান সিনেমা ।
ব্রিটিশ ভারতের চম্পারণ গ্রামের মানুষ বৃষ্টি হয়নি বলে এক বছর খাজনা দিতে পারেনি। তারা সেনা ক্যাপ্টেন রাসেলের কাছে এক বছর খাজনা মাফ করার অনুরোধ করে কিন্তু রাসেল ছিলো অহংকারী ব্যক্তি এবং ঔদ্ধত্য। এর আগে গ্রামের যুবক ভুবন(আমির খান) এর সাথে একটু বচসা হয় তার জেরে রাসেল গ্রামবাসিদেরকে ক্রিকেট খেলতে বলে। এও বলে, জিতলে তিন বছরের খাজনা মাফ, হারলে তিনগুন খাজনা দিতে হবে। এই খেলায় সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ গ্রামবাসী প্রথমে খেলতে ভয় পেলেও ভুবন রাজি হয়। এ কারণে সবাই তার উপর অসন্তুষ্ঠ হলেও পরে সবাই ভূবনের কথা মেনে নেয়। ভুবনরা কি পারবে ব্রিটিশদের অন্যায়ের জবাব দিয়ে নিজের অধিকার রক্ষা করতে....?
অনেক বছর আগে পেপারে একটা লেখা পড়ছিলাম যে, ইংল্যান্ডে একট জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল এভারেস্ট কোথায়? বেশীর ভাগের উত্তর ছিলো যে, ইউরোপে এভারেস্ট। এই যে ইউরোপের কথা বলা তার পিছনেও তাদের ঔদ্ধত্যে ও অহংকারের প্রকাশ। তাদের ধারণা পৃথিবীর যা কিছু ভালো, যা কিছু বড়, তার সবকিছু তাদের দেশে, সবকিছু তাদের সৃষ্টি।
একসময় তারা সারা পৃথিবীর ধনসম্পদ চুরি করছে এবং তা দিয়ে নিজের দেশের জনগণের জীবন-যাত্রার মান উন্নত করছে। আর আমরা তৃতীয় বিশ্বের মানুষরা তাই দেখে আর তাদের শিল্প-সাহিত্য নিয়ে জাবরকাটি, প্রশংসায় ভাষায় তাদের। তাদের এই উন্নতির পিছনের ইতিহাস যে কতটা কদাকার, কুৎসিত আর কুট-কৌশলে ফসল সেটা ব্রিটিশ শাসনের সময়ে দেখা যায়। সিনেমার প্রতি পরতে পরতে দেশপ্রেমের দীক্ষা, সম্মান রক্ষার চেষ্টা আর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে কতটা মরিয়া হওয়া যায় তার শিক্ষা।
সবাই সবার চরিত্রের অভিনয়ে ভালো। তবে একজনের একটা কথা না বললে নয়- গ্রেসি সিংয়ের চোখের কথা। চোখ দেখে মনে হয়, 'রোদ্রের তাপদাহে এক ফোটা বৃষ্টির জল ' এমন স্বচ্ছতা তার চোখের দৃষ্টিতে।
2. Dil Chahta Hai (2001)
Runtime: 3h 5m
IMDB Rating: 8.1
এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন:
আকাশ মালহোত্রা- আমির খান
সামীর- সাইফ আলী খান
সিদ্ধার্ত সিনহা/সিড- অক্ষয় খান্না
এই তিন প্রধান চরিত্রে সবাই তার অবস্থান থেকে সেরাটা দিয়েছে। তবে আলাদা করে ভালো লেগেছে- অক্ষয় খান্নার অভিনয়। সিনেমায় সে একজন আর্টিস্ট হিসেবে অভিনয় করেছে যে কিনা তার থেকে 10-12 বছর বড়, ডিভোর্সী একজনের প্রেমে পড়ে। একটা সময় বন্ধুদের সাথে টানেপড়ন শুরু হয়। হঠাৎ করে তার উদাসীন হয়ে যাওয়া, হাসি, Face Expression ছিল অন্য লেভেলের । সর্বোপরি আমির খানের থেকে তার অভিনয় আমার ভালো লেগেছে।
3. Rang De Basanti(2006)
4. Taare Zameen Par (2007)
Genre: Drama,Family
Imdb Rating:-8.4/10
#স্পয়লার_নাই
কখনো কি আপনার বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করেছেন?? তুমি পড়ালেখায় অমনোযোগী কেন??পাশের বাসার ছেলে ক্লাসে প্রথম হয় অথচ তুমি দিনদিন রসাতলে যাচ্ছ।মানুষের সামনে মুখ দেখানো যায় না তোমার জন্য।এইসব আমাদের বাবা-মায়েদের প্রতিদিনের সংলাপ। কিন্তু বাচ্চা আসলে কি চায়,সে তার মনের ভেতর কি ধারণ করছে।কেমন সত্তা নিয়ে সে বড় হতে চায় তা কেউ জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করেনা।অনেক ত হল,আপনার বাচ্চা পড়ালেখায় নিয়মিত না হলে তাকে ভালবাসার সহিত জিজ্ঞেস করুন সে কি চায়??সে কি জেনেশুনে পড়ালেখায় অমনোযোগী নাকি তার ভেতরে রয়েছে কোনো শারীরিক বা মানসিক ডিসঅর্ডার।
বলিউড ইতিহাসের অন্যতম এক সেরা মুভি বলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি।এতদিন ধরে মুভিটা দেখিনাই বলে আফসোস হচ্ছে।আর সত্যিকারে শিক্ষকতার মত মহান পেশা দিয়ে যারা শতশত শিশুকে আলোর পথে নিয়ে আসছেন তাদের প্রতি আলাদা একটা সম্মান বুকের ভেতরে অনুভব করলাম।
5. Ghajini(2008)
Imdb Rating : 7.3/10
Genre : Action, Thriller, Romance
Director : A.R Murugadoss
Starring : Aamir Khan, Asin, Zia Khan, Pradeep Rawat Etc.
গজনী হচ্ছে মুরুগাদসেরই পরিচালিত একই নামের একটি তামিল ছবির পুনর্নির্মাণ। আবার গজনী হচ্ছে খ্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত হলিউড ছবি মোমেন্টো মুভি থেকে অনুপ্রাণিত। সঞ্জয় সিংহানিয়া চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। যে কিনা একটি মোবাইল ফোন পরিষেবা কোম্পানির পরিচালক এবং একজন ধনী ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে সে অ্যান্টেরোগ্রেড অ্যামনেসিয়া নামক এক মানষিক রোগের স্বীকার হয়। যেই রোগের কারণে ১৫ মিনিটের বেশি কোন কিছু মনে রাখতে পারে না। এই চরিত্রের প্রয়োজনে আমীর খান তার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের সঙ্গে টানা এক বছর শরীর গঠনের প্রশিক্ষণ নেন। কল্পনা চরিত্রে অভিনয় করেন অসিন। যে কিনা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের একজন মডেল। সুনিতা চরিত্রে অভিনয় করেন জিয়া খান। যে কিনা একজন ডাক্তারি কলেজ ছাত্রী। ইন্সপেক্টর অর্জুন যাদব চরিত্রে অভিনয় করেন রিয়াজ খান। গজনী চরিত্রে অভিনয় করেন প্রদীপ রাওয়াত। যাকে এই মুভিতে প্রধান ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।
মুভির স্টোরি ভাল হওয়ারই কথা কারণ ক্রিস্টোফার নোলান নিজেই মোমেন্টু মুভির গল্পটা লিখেছেন। এ আর মুরুগাদাসের ডিরেকশন ভাল ছিল। অভিনয়ের দিকে বললে আমির অসম্ভব ভালো অভিনয় করেছে সাথে অশিন, জিয়া খান দুজনেই ভালো ছিল এবং প্রদীপ রাওয়াত একদম পারফেক্ট ভিলেনিজম ছিল। গান গুলো অসম্ভব সুন্দর গুজারিশ অলটাইম ফেভারিট। মুভিটা বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার ছিল। ৪৫ কোটি বাজেটের এই মুভি বক্স অফিসে ১৯০ কোটি টাকা আয় করে।
6. 3 𝒊𝒅𝒊𝒐𝒕𝒔 (2009)
পরিচালকঃ Rᴀᴊᴋᴜᴍᴀʀ Hɪʀᴀɴɪ
অভিনয়েঃ Aᴍɪʀ Kʜᴀɴ, R. Mᴀᴅʜᴀᴠᴀɴ, Sᴀʀᴍᴀɴ Jᴏsʜɪ, Kᴀʀᴇᴇɴᴀ Kᴀᴘᴏᴏʀ, Bᴏᴍᴀɴ Iʀᴀɴɪ এবং আরও অনেকে..
𝗜𝗠𝗗𝗯 :8.4
♦৩ বন্ধুর গল্প সাথে আবেগ,অনুভূতি, ভালবাসা,ইমোশন সব মিলিয়ে সু-সজ্জিত শিক্ষামূলক এক মুভি 3 𝒊𝒅𝒊𝒐𝒕𝒔.
♠অসাধারণ গল্প,সংলাপ,স্ক্রিন-প্লে,গান, ডিরেকশন এবং প্রত্যেকের দারুন অভিনয় সব মিলিয়ে রাজু হিরানির মাস্টারপিস 3 𝒊𝒅𝒊𝒐𝒕𝒔 মুভিটি।
♥এ মুভিটিকে আসলে কোনো কিছু দিয়ে বিচার করা যায় না। এখনো প্রায় ই দেখা হয় মুভিটি। সত্যি বলতে বহুবার দেখা হয়েছে মুভিটি এখনো প্রায় ই দেখি কিন্তু একটুর জন্যও বোরিং লাগে না বরং প্রথবার দেখার মতই ইঞ্জয় করি।
♣এটা কোনো রিভিউ না প্রায় ১১ বছর যাবত আমাদের মনে রুল করে যাওয়া মুভি যেটা দেখে নস্টালজিয়া ফিল হয় সেটা নিয়েই কিছু কথা বলা জাস্ট..
♦আমার মনে হয় না যে এমন কোনো সিনেমাপ্রেমি পাওয়া যাবে যিনি এই মুভিটা দেখে নাই। যদি এমন কেউ থেকে থাকেন যিনি মুভিটি দেখেন নি তাহলে বলবো খুব বড় কিছু মিস করে বসে আছেন আপ্নি।
দেড়ি না করে জলদি দেখে ফেলুন মুভিটি।
7. PK (2014)
Imdb: 8.1/10
Rotten tomatoes: 77% fresh tomatoes!
No spoiler...
শর্ট রিভিউ...
২০১৪ সালের ব্যবসাসফল ফিল্ম পিকে। আমির খান, আনুষ্কা শর্মা, সুশান্ত, সঞ্জয় দত্ত প্রমুখ অভিনীত পিকে কমেডি ড্রামা জনরার ফিল্ম। পিকে ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম কারণ পিকেই প্রথম আয়ের দিকে ৮৫০ কোটি পার করে। আর এ ফিল্মের জন্যেই হাজার কোটির অসম্ভব চিন্তাও পরবর্তীতে সম্ভবে পরিণত হয়।
গল্পের মূল চরিত্র পিকে। যাকে এলিয়েন হিসেবে দেখানো হয়। স্পেসশিপের সাথে সংযোগ হারিয়ে পৃথিবীতেই যাকে থাকতে হয়। সে তো আর পৃথিবীর হাবভাব বুঝেনা। তাই তাকে পৃথিবীতে নানাভাবে ভুগতে করতে হয়। আর তার মাধ্যমেই ধর্মকে নিয়ে মানুষের নানা ভ্রান্তি তুলে ধরা হয়।
এ ফিল্ম রিলিজের পরপরই প্রচুর সমালোচনা হয়। ব্যান হবে কিনা সে নিয়েও নানা শিরোনাম আসে। বেশ কিছু পার্টি রীতিমতো এর পিছনে লাগে। শেষে পরিচালক রাজকুমার হিরানীকে এর ব্যাখ্যাও দিতে হয়। তিনি এর সারমর্ম তুলে ধরেন। অর্থাৎ ধর্মকে অবমাননা নয়, বরং ধর্ম নিয়ে ব্যবসা, ভ্রান্তি এসবই নাকি তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন। OMG! ফিল্মের থিম ও প্রায় সেম। কিন্তু সেটায় তা একেবারে পানির মতো সহজ করে কাহিনী দেখিয়ে গেছে, যেখানে পিকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে, রূপক হিসেবে দেখিয়ে গেছে। তাই পিকে ধরতে একটু ভালোভাবেই দেখা দরকার।
আমির খান এ ফিল্মে দারুণ করেছেন। নানারকম কন্টেন্ট বাছাই করে আমির তখন একের পর এক সফল ও হচ্ছেন। আনুষ্কাও চরিত্র অনুযায়ী চেষ্টা করে গেছেন। সঞ্জয়কে নিয়ে তো আলাদা কিছু বলতে হয়না। তবে তুলনামূলক ছোট রোলে সুশান্ত বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। আর স্ক্রিনপ্লে কে বেশ জমজমাট রাখতে, কমেডিগুলোকে প্রাঞ্জল করতে রাজকুমার হিরানী খুব চেষ্টা করেছেন আর তিনি সফলও। দারুণ মেকিং করেছেন তিনি। আর হ্যাঁ, ওইসময় আমিরের নগ্ন হওয়াটাও বেশ আলোচিত ঘটনা ছিলো।
8. Dangal (2016)
Imdb: 8.4/10
Rotten tomatoes: 88% fresh tomatoes!
নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ফিল্ম দঙ্গল। আমির খান, সাক্ষি তানওয়ার, ফাতিমা, সানিয়া মালহোত্রা প্রমুখ অভিনীত এ ফিল্ম বায়োগ্রাফি ড্রামা জনরার ফিল্ম।
হালকা স্পয়লার...
কাহিনী সংক্ষেপ: মহাভীর, সাবেক কুস্তিগির। কুস্তির প্রতি তার গভীর অনুরাগ৷ খেলায় পারদর্শী ছিলেন। আশা করতেন তার ছেলেও বড় হয়ে খুব ভালো কুস্তিগির হবে। সেই আশায় সন্তান নিতে থাকেন। কিন্তু বিধিবাম, সব সন্তানই মেয়ে! মহাভীরের একরাশ হতাশা। সে হতাশা মেনেই চলছিলো জীবনযাপন।
মেয়েরা এখন স্কুলপড়ুয়া। একদিন মহাভীরের মেয়ে এক ছেলে বেধড়ক মারে। ঘটনা বদলে যায় এখান থেকেই। মহাভীর অবাক হয়ে যায় যে কিভাবে তার মেয়ে একটা ছেলেকে মারধর করলো! আবার স্বপ্ন বুনতে থাকে মহাভীর৷ ছেলে হয়নি তো কি আর করার। মেয়েকেই বানাবেন কুস্তিগির!
খুব ভালো অভিনয় করেছেন আমির খান। চরিত্রের জন্য তার ট্রান্সফরমেশন এখনো বলিউডের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। দঙ্গলের জন্যেও নিজের শরীরকে নিয়ে গেছেন কুস্তিগিরের শরীরের পর্যায়ে। তবে আমির খান কি শুধু বডি ট্রান্সফরমেশনেই ডেডিকেটেড? না, তার অভিনয় ও সেই কথা বলে। পুরো সময়জুড়ে চরিত্র অনুযায়ী পার্ফেক্ট অভিনয় করেছেন আমির খান। যদিও শুধু আমির খান না, কাস্টের প্রায় সবাই ভালো অভিনয় করেছেন।
নিতেশ তিওয়ারি দারুণ পরিচালনা করেছেন। এরকম একটা কনসেপ্টকে বেশ নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। এর সিনেমাটোগ্রাফি আমার বেশ ভালো লেগেছে। গল্পকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন নিতেশ তিওয়ারি তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ইমোশনাল সিনগুলোতে যে টোন ছিলো! কিভাবে অরিজিৎ সিংকে বিশেষণ করবো! ন্যায়না গানটা যখনই শুনি যেনো হারিয়ে যাই!