হলিউড দর্শকদের পছন্দের শীর্ষ ধরে রেখেছে এমন কিছু গ্রাউন্ড-ব্রেকিং ফিল্ম যা শুধু বিনোদনের চেয়ে বেশি কিছু। প্রথাগত সিনেমার পরিবর্তিত চেহারার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলির তাত্পর্যপূর্ণ বৃদ্ধি দেখায় যে কেন হলিউড সর্বদা নেতৃত্বে থাকবে। আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি ২০ টি সেরা সিনেমা যা ২০২১ এ মুক্তি পেয়েছিলো। আজ থাকবে প্রথম ১০ টি সিনেমা । তো রেডি হয়ে যান।
১। Spider-Man: No Way Home - 2021 ‧ Action/Adventure
পুরো মুভির কাহিনী মূলত Peter Parker-এর ক্যারেক্টার জার্নি তুলে ধরেছে। মুভির শুরুটা একদম Far From Home যেখানে শেষ হয়েছিল সেখানেই শুরু হয়। ট্রেইলারে যেমন দেখানো হয়েছিল যে সবাই জেনে গিয়েছে Peter Parker-ই Spider-Man সেই ঝামেলার কারনে তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। বেচারা Peter আবারো স্বাভাবিক জীবন পেতে Doctor Strange-এর কাছে যায় কিন্তু Strange-এর যাদু মন্ত্র ব্র্যাক ফায়ার হয়ে যায়। এবং সেই থেকে শুরু হয় মাল্টি ভার্সের খেলা এবং একে একে MCU-তে প্রবেশ করে চির পরিচিত অনেক মুখ।
ট্রেইলারে যেহেতু আগের মুভি গুলোর ভিলেনদের দেখানো হয়েছে তাই আগে থেকেই প্রত্যাশিত ছিলো যে তাদের দেখা যাবে। তবে তাদের দেখে যে মন এতটা ভরে উঠবে তা একদমই ভাবিনি। আগের অভিনেতারা নিজ নিজ চরিত্রে আবারো অসাধারণ কাজ করেছেন। বিশেষ করে Green Goblin চরিত্রে Willem Dafoe এখনো এতটা মারাত্মকভাবে এই চরিত্রটি তুলে ধরেছেন যে বলার বাহিরে। তার পাশাপাশি Doctor Octopus চরিত্রে Alfred Molina ছিলেন চমৎকার। তার সাথে Holland-এর চরিত্রের একটা খুবই ন্যাচারাল কেমিস্ট্রি ছিলো তা আমার পছন্দ হয়েছে। এছাড়া ছিলেন Electro চরিত্রে Jamie Foxx, Lizard চরিত্রে Rhys Ifans ও Sandman চরিত্রে Thomas Haden Church। তবে Lizard ও Sandman-এর ভূমিকা খুবই কম ছিলো মুভিতে।
আমার কাছে এটা এই বছরের অন্যতম সেরা মুভি গুলোর একটি ও ইতোমধ্যেই পার্সোনাল ফেভারিট স্পাইডারম্যান মুভি হয়ে উঠেছে। যারা এখনো দেখেননি শিগগিরই দেখে ফেলুন Spider-Man No Way Home মুভিটি।
২। No Time to Die - 2021 ‧ Action/Thriller
একটা প্রারম্ভিক সুত্র ধরে গল্পের শুরুটাকে গাঁথা হয়েছে বেশ সুন্দরভাবে। এরপর আস্তে আস্তে তা ডেভেলপ করা হয়েছে। স্টোরি ট্রিটমেন্ট দারুণ এবং মোটামুটি ভাল একটা গতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়াও বুঝতেই পারিনি যে ছবিটি আড়াই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছিলো (এটি সব চাইতে দীর্ঘ বন্ড ফিল্ম)।
বিদায় বেলায় ড্যানিয়েল ক্রেইগের জন্য দুটি কথা;
আমি জেমস বন্ডকে চিনেছি পিয়েরস ব্রসন্যানের হাত ধরে। তিনি আমার সবথেকে প্রিয় বন্ড আর আমার কাছে তার জায়গা সম্পুর্ণ ভিন্ন। পরবর্তীতে আমি সব অভিনেতাদের অভিনীত সিনেমাগুলো দেখেছি। ক্রেইগের আগের সবার থেকে ক্রেইগকে একদম আলাদা এক ঘরে রাখা যায়। আর এতে কোন সন্দেহ নেই যে ইয়ান ফ্লেমিং এর তৈরী বিখ্যাত এই চরিত্রের সবথেকে একুরেট প্রজেকশন করেছেন ড্যানিয়েল ক্রেইগই। অধিকাংশ ভক্তদের কাছেই তার মাত্রাটা ভিন্ন। আর শেষ ছবিটা দিয়ে যেনো সেই জায়গাটায় আরও একটা দাগ কেঁটে দিয়ে গেলেন তিনি।
৩। Shang-Chi and The Legend of The Ten Rings - 2021 ‧ Action/Fantasy
যতটা আশা করছিলাম তার থেকেও অনেকগুন বেশি ভালো ছিল। Story টা Simple ছিল। কিন্তু অরিজিন মুভি হিসাবে পার্ফেক্ট বলা যায়। আর যেহেতু মুভিটা action based movie. সেদিক দিয়ে মুভি সফল। একশনের কোনো কমতি ছিল না। Full pack of actions.
Realistic actions were far better than fantasy actions. রাতের বেলার বিল্ডিং ফাইট টা just এই বিল্ডিং ফাইটটা দেখার জন্য হলেও আপনার সিনেমা হলে যাওয়া উচিত। বিশ্বাস করেন, পুরো পয়সা উসুল হয়ে যাবে। Daredevil এর Hallway fight সীনটার কথা মনে আছে?? আমি সেটার সাথে এই বিল্ডিং ফাইট সীনের তুলনা করছি না। সেটা অন্য লেভেলের। আমি শুধু বোঝাতে চাচ্ছি যে পুরো ডেয়ারডেভিল সিরিজে যেমন সেই ফাইট সীন টা সেরা, তেমনি Shang Chi মুভির ক্ষেত্রে এই সীনটা সেরা। আমার মতে পুরো MCU তে এইরকম ফাইট সীন কমই আছে। Hand to hand fight এর ক্ষেত্রে Winter Soldier মুভির পরে এই মুভির ফাইটগুলাই সেরা বলা চলে।
কিছু Fun facts : এখানে ভারী স্পয়লার আছে। স্পয়লার এড়াতে চাইলে এখনই থেমে যান।
১. মুভিতে Dragon Ball Z এর মেনশনিং টা খুব ভালো লাগছে।
২. মুভিতে Iron Man এর মেনশন ছিল। আর আমাদের অতি পরিচিত ক্যারেক্টার Trevor এর comeback টাও জোস ছিল। সেও যতক্ষণ স্ক্রীনে ছিল ততক্ষণ কাপিয়েছে।
৩. Shang Chi আর তার খালা যখন ফাইট করে (আসলে practice করে) তখন তাদের এক্সপ্রেশন আর আচার আচরণ দেখে আমার গেম অফ থ্রোন্স এর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। Jon Snow আর Daenerys এর। সেখানে ছিল ফুফু-ভাতিজা। আর এখানে খালা-ভাগিনা
৪। The Father - 2020 ‧ Drama ‧ বয়সের সাথে সাথে মানুষ কতটা অসহায় হয়ে পড়ে তা আসলেই বিস্ময়কর। মুভির শুরুতে ধরতেই পারিনি যে কি দেখতে বসেছি। সত্যি বলতে ভেবেছিলাম যে মুভিটি হয়তো স্লো ধরনের হবে তবে আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিলো। নিঃসন্দেহে ২০২০-এর সেরা মুভি গুলোর একটি The Father।
The Father মুভিটি ইতোমধ্যে অস্কারে ৬টি ক্যাটেগরিতে মনোনয়ন পেয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মুভির কাহিনী Anthony (Anthony Hopkins) নামের এক বৃদ্ধকে ও তার মেয়ে Anne(Olivia Coleman)-কে নিয়ে। তবে কাহিনীর মূল অংশ হলো Anthony-এর Alzheimer রোগ নিয়ে বেঁচে থাকা ও তার মেয়ের চেষ্টা তার বাবার একটা ব্যবস্থা করার যেন তিনি সবচেয়ে ভালো মেডিকেল কেয়ারটা পান।
অনেকেই হয়তো জানেন যে Alzheimer রোগটা কতটা মানুষিক যন্ত্রণাদায়ক। বয়স্কদের মাঝে খুবই কমন একটি রোগ যেখানে মানুষ সবকিছু ভুলে যেতে থাকে। অনেক সময় আপনজনের চেহারাও ঠিক করে চিনতে পারেন না ও সময়ের কোনো হিসেব থাকে না। অনেকেই আবার একদম শিশু সুলভ আচরণ করতে থাকেন। এই মুভিটি চমৎকার ভাবে এই সকল দিকগুলো তুলে ধরেছে। সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয় হলো মুভিটি সম্পূর্ণ ভাবে Anthony-এর দৃষ্টি থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার ভিতরে কি চলছে এবং তার জীবনের একটা দিন তার মস্তিষ্কে কেমন করে কেটেছে তাই তুলে ধরা হয়েছে। তাই এই মুভিটি উপভোগ করার জন্য মনোযোগ বজায় রাখতে হয়। একটি বিষয় লক্ষণীয় তা হলো এমন কঠিন একটি টপিকের মুভি হওয়া সত্ত্বেও মুভিটি একদমই স্লো না। বোর হবার কোনো কারণ পাবেন না। মুভির বেশিরভাগ অংশেই Anthony-এর কান্ড কীর্তি গুলো বেশ এন্টারটেইনিং।
৫। Encanto - 2021 ‧ Family/Musical
ডিজনির ঝা চকচকে এনিমেশন মুভি কার না ভাল লাগে।Encanto ঠিক তেমনই একটি মুভি। এটি ওয়াল্ট ডিজনির ষাট তম মুভি।
মাদ্রিগাল পদবিধারী একটি পরিবার পাহাড় ঘেরা “এনকান্তো"নামক জায়গায় থাকে।ঐ পরিবারের সবারই রয়েছে কিছু না কিছু অলৌকিক শক্তি।শুধুমাত্র একজন সদস্য ছাড়া যার নাম “মিরাবেল"। কিন্তু তাতে তার বিন্দু মাত্র আক্ষেপ নেই বরং সে নিজের মত করে বাঁচে।কিন্তু তাদের জাদুকরী বাড়িতে হঠাৎ ফাটল ধরতে শুরু করে। এর কারণই বা কি?আর কেই বা উদ্ধার করবে এই বিপদ থেকে?
গল্পটা খুব সাদামাটা হলেও, আমার দারুণ লেগেছে।চোখ জুড়ানো সিনেমাটোগ্রাফি। আর চরিত্র বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে। ডিজনি ছোট ছোট জিনিসগুলোর প্রতি দারুণ খেয়াল রেখেছে। হাতে সময় থাকলে দেখতে ভুলবেন না।
৬। Dune - 2021 ‧ Sci-fi/Adventure
শেষের ডায়লোগটা দিয়ে যদি শুরু করি "This is only the beginning" তাহলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে বিখ্যাত ডিরেক্টর Denis Villeneuve আরো বেশি গভীরতা নিয়ে আসবে। Dune আসলে ফ্রাঙ্ক হার্বার্টের সাইন্স ফিকশন বেস্ট সেলার নোভেলের অ্যাডাপ্টেশন।ট্রেইলার দেখেই ভেবেছিলাম ব্লেড রানারের মতো জোশ একটা সাই-ফাই আসতে যাচ্ছে। আর মুভিটা দেখেও সেটা সম্পূর্ণ অনুভব করেছি।
পেরিয়ে গেছে সভ্যতার পর সভ্যতা। বদলে গেছে সংস্কৃতি। পরিবর্তন এসেছে রাজত্বে। মানুষ আয়ত্ব করতে শিখেছে মরুভূমির ভয়ংকর সরীসৃপকেও। তবে বদল আসেনি রাজত্বের লালসায়। সেই বহু আগের মতো মানুষ এখনো রাজত্বের জন্য যুদ্ধ করতে,মানুষ মারতে দ্বিধা বোধ করে না। বরং এসব করার জন্য তৈরি করেছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্র এবং কৌশল।
Dune এর শুরু থেকে শেষ ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিটের হলেও আপনার যদি একদম ঠাণ্ডা অথচ গভীর চিন্তাধারার মুভি দেখার অভ্যাস না থাকে অথবা অনেকদিন যাবত কোনো ধীর গতির মুভি না দেখে থাকে এই ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট সময়টা আপনার কাছে আরো ১ ঘন্টা বেশি মনে হতে পারে কিন্তু আমি বলতে পারি আপনি আটকে যাবেন ৩০ মিনিটের পরেই মুভিতে কি ঘটবে এটা জানার জন্য।
আপনারা সময় থাকলে দেখতে পারেন।
৭। A Quiet Place II - 2020 ‧ Horror/Thrillerশ্বাসরুদ্ধকর প্রথম পার্ট এর কথা আশা করি সবারই মনে আছে।যেখানে কথা বললে বা শব্দ করলেই আপনার উপর নেমে আসবে ভয়ানক প্রাণী দের হামলা। প্রসব বেদনার ব্যাথা ও যেখানে দাতে দাত চেপে সহ্য করতে হয়েছিলো কোন চিৎকার ছাড়া! সেই ধারাবাহিকতায় এবার মুভির দ্বিতীয় পার্ট রিলিজ হলো।
প্রথম পার্টে আমরা দেখেছিলাম কীভাবে তারা সার্ভাইব করে টিকেছিলো। এবার মুভির শুরুতেই দেখানো হবে কিভাবে এই ঘটনার সুত্রপাত হয়েছিলো। ক্রিয়েচার দের হামলার প্রথম ঘটনা থেকে মুভির গল্প শুরু হবে। এরপর আবার প্রথম পার্টের জায়গায় মানে ঘটনার ৪৭৪ তম দিনে ফিরে যাবে গল্প যেখানে এখনো সার্ভাইব করে টিকে আছে পরিবার টি। কিন্তু আর কতদিন এভাবে থাকবে তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় এগিয়ে যাবার হয়তো কোন সাহায্য পাবে এই আশায়। কিন্তু তারা কি পারবে এই প্রতিকূল অবস্থায় এগিয়ে যেতে?যেখানে পদে পদে লুকিয়ে আছে মৃত্যু আশংঙ্কা!
প্রথম পার্টের মতো এখানেও সাসপেন্স বিল্ড করেছে চমৎকার ভাবে।
আগের পার্টের মতো বেশ কিছু শ্বাসরুদ্ধকর কিছি সীন রয়েছে।
পরিচালক এমনভাবে স্ক্রীনপ্লে সাজিয়েছে যে আপনি খুব সহজেই নিজেকে কানেক্ট করতে পারবেন সাথে গা হিম করা বিজিএম তো রয়েছেই। আর মুভিতে যারা অভিনয় করেছে তাদের প্রত্যেকের অভিনয়ই চমৎকার ছিলো। একটা আতংকিত পরিবার যেখানে সাহায্য করার কেউ নেই, এমন সিচুয়েশনে সবাই যেনো হয়ে উঠে একেকটা যোদ্ধা।
প্রথম পার্ট যাদের কাছে ভালো লেগেছে তারা নিঃসন্দেহে দেখতে পারেন।আশা করি ভালো লাগবে।
প্রথম পার্টের মান ভালোভাবেই রাখতে পেরেছে মুভির দ্বিতীয় এই পার্ট টি।
আর যারা সার্ভাইভাল মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য এই দুই পার্টের মুভি মাস্টওয়াচ।
8। The Suicide Squad - 2021- Action/Adventure
প্রথমেই বলে রাখি, অনেকেই ভাবতে পারে এটা ২০১৬ সালের Suicide squad এর সিকুয়েল বা প্রিকুয়েল, কিন্তু ওই মুভির সাথে এটার কোনো সংযোগ নাই।
পূর্বের মতোই সরকার বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সুপারভিলেনদের এক মিশনে পাঠায় (ব্লাডস্পোর্ট, পিসমেকার, কিং শার্ক, হার্লি কুইন এবং অন্যান্য) দূরবর্তী, শত্রু-আক্রান্ত দ্বীপ কর্টো মাল্টিসে। যেখান থেকে ফিরে আসা অসম্ভব, সেজন্যই তো মুভির নাম Suicide squad।
প্রথমে ভাবছিলাম এতোগুলা ক্যারেক্টার, এদের Introduce করাতে করাতেই মুভি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু হইছে তার উল্টো, মিশনের শুরুর দৃশ্য দেখেই অবাক হয়ে গেছি। গল্পও অনেক ভালো ছিল, প্রত্যাশার চেয়েও। মুভি শেষের সময় বিভ্রান্ত হয়ে গেছি শেষ পর্যন্ত বেচে থাকবে কে এটা নিয়ে। পুরো সময় জুরে অ্যাকশনের সাথে কমেডি আরও উপভোগ্য করে তুলবে।
আমার কাছে মনে হইছে এটা অসাধারণ মুভি।
৯। Free Guy - 2021 - Action, Comedy, Sci-Fi, Adventureমুভির গল্প মুলত একটি ভিডিও গেমের ছোট একটি ক্যারেক্টার কে নিয়ে।
এই গেমেরই একটি NPC বা নন প্লেয়ার ক্যারেক্টার Guy। সে আসলে একজন ব্যাকগ্রাউন্ড চরিত্র যার গেমে কোনো ভূমিকা নেই, সে এই গেমে একজন সামান্য ব্যাংকার। সেই শহরে প্রতিদিন একই ঘটনা বারবার ঘটে। মানে Guy সকালে ঘুম থেকে উঠে,তারপর কফিশপে গিয়ে শুধু কফি খায়, জুতার দোকানে গিয়ে পছন্দের জুতোটা কেনার চেষ্টা করে,তারপর ব্যাংকে যায়,ব্যাংকটা ডাকাতি হয়। কিন্তুু হঠাৎ সে একটি সানগ্লাস পায় এবং সেটি পরার পরে সে সকল মিশনের ডিটেইলস দেখতে পায়। অাসলে কি তার মিশন?মিশনে সে কি ভাবে কাজ করে? জানতে হলে মুভিটি দেখতে হবে।
খুবই সাধারন একটি গল্পের মুভি এটি। অতিরঞ্জিত কোন কিছু নেই বললেই চলে । কমেডি ও একশন সিন গুলো ছিল উপভোগ করার মত।পাশাপাশি ভিএফক্স এর কাজ যথেষ্ট ভাল ছিল।
সব মিলিয়ে পুরো পরিবারের সাথে উপভোগ করার মতো একটি মুভি Free Guy।
১০। Cruella - 2021 ‧ Comedy drama/Drama ‧একটি দূর্ঘটনা; তারপর থেকে নিজেকে মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী ভাবতে থাকে স্টেলা! বড় ফ্যাশন ডিজাইন হতে চায় সে। সুযোগও পেয়ে যায়। বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বার্নেসের সাথে কাজ করার। কিন্তু এমন কিছু সত্যের মুখোমুখি হয় স্টেলা; এতো দিন জেনে আসা সত্যগুলো নিমিষেই মিথ্যে হয়ে যায়। ক্রোধে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে স্টেলা থেকে সে হয়ে যায় ক্রুয়েল্লা!
সত্যি বলতে Cruella নিয়ে কম এক্সপেক্টেশন ছিল আমার। ট্রেলারটা ভালোই ছিল। কিন্তু দেখতে বসে মজা লেগেছে বেশি। কোন টুইস্ট আসতে যাচ্ছে আগে থেকে বোঝা যাচ্ছিল না: এতে টুইস্টের ধাক্কাটা বেশ জোরেশোরেই লেগেছে!
এমা স্টোন, এমা থমসন দুজনেই ছিলেন সমানে সমান। পরষ্পরবিরোধী রোলে দুজনেই ছিলেন প্রাণচ্ছ্বল। সেট ডিজাইনটা জটিল ছিল। ডার্ক এবং গম্ভীর আবহাওয়া তৈরীতে এগুলো সহায়তা করেছে। মেকআপ আর কস্টিউম ডিজাইন ছিল দেখার মত। ডায়লগের ক্ষেত্রে হিউমার ছিল; ফান ছিল। ডিজনীর লাইভ একশনে আসলে যা যা চাই সবই ছিল।
এবার আসি স্কোর আর সাউন্ড ট্রাকে; মুগ্ধ করেছে আমাকে। সময়োপযোগী সিচুয়েশন বুঝে চুজ করা; সিনগুলোর সাথে মিলেমিশে আরও গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়েছে।
প্রথম ভাগে একটু স্লো মনে হলেও পরের ভাগটা খুব তাড়াতাড়ি টেনেছে। কাহিনীর ডেভেলপমেন্টে সময় নিলেও পরে সরাসরি একশনে চলে গিয়েছে। পিরিয়ডিক পিস বলে খুব কালারফুল ছিল সাথে সাথে সেটিংটাও কাহিনী উপযোগী ডার্ক। দালানকোঠায়ও সময়ের ছাপ ছিল স্পষ্ট। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে আমার।
টাইপিং এ ভুল হলে ক্ষমা করবেন। খুব তাড়াতাড়ি 2nd পার্ট পাবেন কথা দিচ্ছি।